মংসানু মারমা বান্দরবান থেকে: বান্দরবানে উদ্যাপন কমিটি আয়োজনের মারমাদের সাংগ্রাই পোয়ে দ্বিতীয় দিনে বান্দরবান রাজা মাঠে বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ ‘জল কেলি’ খেলা উৎসব।এই উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে উদ্ধোধন হয় জল কেলি পানি বর্ষণ উৎসব। প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি জল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছায় সিক্ত করে বিগত দিনের সব কালিমা ধুয়ে- মুছে পুরানো বছরকে বিদায় দিয়ে আগামী দিনগুলোর জন্য মঙ্গল কামনা করে নববর্ষকে বরণ করে নেয়।
এই পরেই শুরু হয় দলে দলে গ্রুপে পুরো পানি বর্ষণ উৎসব।উৎসবে যুবক হলে যুবতীকে ,ছেলে হলে মেয়েকে এভাবে পরস্পরের গায়ে পানি ছিটিয়ে শিশু-কিশোর ও তরুণদের পানি বর্ষণ প্রতিযোগী খেলার চলতে থাকে।
অন্যদিকে “সাংগ্রাইমা’ সাংগ্রাইমা ঞিঞি ঞা ঞা রিকেজাই:গাই:পামে,জনপ্রিয় গান গেয়ে পরস্পরের গায়ে পানি ছিটিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে।
মারমাদের পাশাপাশি অন্যান্য জাতির গোষ্ঠীরাও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সাংগ্রাই পোয়ে জল কেলি পানি বর্ষণ উৎসব পালন করেছে।তিন পার্বত্য জেলায় বান্দরবান ছাড়াও খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বিভিন্ন জাতির গোষ্ঠীরা নববর্ষ মৈত্রীময় জল কেলি বা পানি বর্ষণ খেলা উৎসব উদ্যাপন অনেকটা বৈসাবি কেন্দ্রি পালন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মারমাদের এই সাঙগ্রাই উৎসবের সম্মিলিত নামই জল কেলি পানি বর্ষণ উৎসব।মারমাদের চিরায়ত ঐতিহ্যেও ভিত্ত মজবুত করতে প্রতিবছরই ফিরে আসে সাংগ্রাই পোয়ে মৈত্রি পানি বর্ষণ উৎসব। সারা বছরের ক্লেদ-গ্লানি হতাশা ভুলে দিতে এদিনে মারমা জনগোষ্ঠীরা পানি ছিটিয়ে নাচে গানে উৎসবে মেতে উঠে বান্দরবান রাজা মাঠ প্রাঙ্গণ।এই ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসব অনষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ,জেলা প্রশাসক মো:আসলাম হোসেন,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকেরা দর্শক হিসেবে অংশ গ্রহণ করেছ।